প্রত্যয় ডেস্ক: যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চেষ্টা চলছে করোনার ভ্যাকসিন বা ওষুধ আবিষ্কারের। এরই মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যে বেশ কিছু ওষুধকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্যে। সম্প্রতি ভারতে ছাড় দেওয়া হলো ইটোলিজুম্যাব ওষুধকে। ত্বকের রোগ সোরিয়াসিস কমানোর জন্যে প্রধানত ব্যবহৃত হলেও ড্রাগ কনট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এই ওষুধ করোনা চিকিৎৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দিলেন। তবে যেসকল করোনা রোগীর প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে একমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। শুত্রবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এই খবর জানানো হয়েছে।
মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ইনজেকশন ইটোলিজুম্যাব ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে করোনা রোগীদের চিকিৎসায়। প্রধানত সাইটোকিন রিলিজ সিনড্রমের চিকিৎসাতেই এই ওষুধের ব্যবহার সীমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের এক কর্মকর্তা জানান, ভারতের কভিড রোগীদের ওপর এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল আশাপ্রদ হওয়ায় করোনা চিকিৎৎসায় ইটোলিজুম্যাব ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস এর পালমোনোলজিস্ট, ফার্মাকোলজিস্ট এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও দেশের প্রথম সারির চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই ওষুধ ব্যবহৃত হবে সাইটোকিন রিলিজ সিনড্রমের চিকিৎৎসায়। বায়োকনের তৈরি এই ওষুধ বেশ কিছু বছর ধরে সোরিয়াসিসের চিকিৎৎসায় সফলভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই ওষুধ ব্যবহারের আগে প্রয়োজন পড়বে রোগীর লিখিত অনুমতির।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে তাদের ভ্যাকসিন সহযোগী গ্যাভির’র সঙ্গে মিলে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। তাদের এখন একমাত্র লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অন্তত ২০০ কোটি ডোজ বাজারে ছাড়া। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার এক্সিকিউটিভ বোর্ডের অন্যতম সদস্য। তিনি জানান, ভারত ৬০ শতাংশ ভ্যাকসিনের যোগান দিতে পারবে। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুরোধ করেছেন যেন ফাস্ট ট্র্যাকে ভ্যাকসিন ট্রায়াল করা যায় সে দিকে নজর দিতে। কারণ বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের নজর এখন করোনা টিকার দিকেই।
এখন পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া প্যাসিফিকে তিনটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। এই ৯টি ভ্যাকসিনের মধ্যে ৬টি ভ্যাকসিনের ইতোমধ্যে ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্যই হলো প্রত্যেক দেশের অন্তত ২০ শতাংশ জনসংখ্যার কাছে দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া। তবে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের।